প্রকাশিত: Thu, Jul 6, 2023 10:33 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 9:27 AM

[১]বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন নয় যে, ইউরোপে আশ্রয় চাইতে হবে [২]ইইউতে আবেদন না করার পরামর্শ

মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু: [৩] অনুমতিবিহীন অবস্থায় যারা ইইউতে বসবাস করছেন, তাদের কিভাবে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়- এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সকল দেশের ইমিগ্রেশন মন্ত্রীদের নিয়ে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি স্টকহল্মে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইইউ ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার মারগুত বালস্ত্রম। তিনি গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।     

[৪] বর্তমানে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর বাহির থেকে আসা আনুমানিক ১৩ থেকে ১৫ হাজার ইলিগাল ইমিগ্রান্ট সুইডেনে বসবাস করছে। এদের অনেকেই দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনের কাছে সম্পূর্ণ নিখোঁজ হিসেবে তালিকায় আছেন। বাকিদের নিজ নিজ দেশ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দেশের ভিতরে প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করছে। অন্যদের পরিচয় কিংবা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ফেরত প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। 

[৫] স্থানীয় মিডিয়ার সংবাদ অনুসারে এসকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এদের কেউ কেউ এখন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আটকানো  অবস্থায় আছেন।   

[৬] এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাম উল্লেখ করে বলা হয় যে, এসকল দেশে আশ্রয় পাওয়ার মতো কোন রাজনৈতিক সমস্যা নেই। সুতরাং উল্লেখিত দেশগুলো থেকে ইইউতে এসে আশ্রয় আবেদন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

[৭] এখানে উল্লেখ্য, জেনারেল জিয়াউর রাহমান ও জেনারেল এরশাদের সময় যখন বাংলাদেশে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল; সেই সময়ই মূলত অনেকে বাংলাদেশ থেকে সুইডেনসহ ইউরোপে এসে রাজনৈতিক ও মানবিক কারণে আশ্রয় লাভ করেন। 

[৮] বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে এমন নয় যে, নিজ দেশ ত্যাগ করে ইউরোপে এসে আশ্রয় আবেদন করতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।         

[৯] স্থানীয় মিডিয়ার মতে, যে সকল দেশ তাদের নাগরিকদের গ্রহণ করতে আপত্তি করছে তাদের  চাপের মুখে ফেলা হতে পারে। যেমন দেশগুলোকে যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, প্রয়োজনে তাকে ব্যবহার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

[১০] এখানে উল্লেখ্য যে, মারগুত বালস্ত্রম ইইউ ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিটির কমিশনার হওয়ার পূর্বে সুইডেনে লেবার পার্টি নেতৃত্বের সরকারের ইকুয়েলিটি মিনিস্টার ছিলেন। ২০২১ সালে আনুমানিক  ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি বেআইনিভাবে ইইউতে  প্রবেশ করে।